Shoaib Malik: বছর শুরুতেই বিয়ের সানাই। চুপিসারে সাত পাকে বাঁধা বললেন পাকিস্তানের তারকা ক্রিকেটার শোয়েব মালিক এবং পাকিস্তানি অভিনেত্রী সানা জাভেদ। বেশ কিছুদিন ধরেই গুজব ছিল শোয়েব ও সানিয়া মির্জার মধ্যে বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে। তবে সেই খবরের নিশ্চয়তা কোনোভাবেই পাওয়া যায়নি। পাকিস্তানি তারকা ক্রিকেটারের বিয়ে সেই খবরেই যেন শিলমোহর বসাল।
আরও পড়ুন: DA Hike: সরকারি কর্মীদের দারুণ সুখবর, মাত্র ১২ দিনের মধ্যেই অ্যাকাউন্টে ঢুকবে মোটা টাকা?
কে ছিলেন শোয়েবের প্রাক্তন স্ত্রী সানিয়া মির্জা?
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, 200 কোটি টাকার মালিক ক্রিকেট তারকার প্রাক্তন সানিয়া মির্জা। তাঁকে ভারতের সেরা টেনিস খেলোয়াড়দের মধ্যে গণ্য করা হয়। সানিয়া মির্জা কোটি টাকা আয়ের সঙ্গে সঙ্গে বিলাসবহুল জীবনযাপন করে থাকেন। বিভিন্ন তথ্যসূত্র অনুসারে, সানিয়া মির্জার মোট সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় 25 মিলিয়ন ডলার অর্থাৎ যা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় 2000 কোটি টাকা।
শোয়েবের তৃতীয় বিয়ে নাকি দ্বিতীয় বিয়ে?
শোয়েব মালিকের বিয়ের খবরের পর থেকেই নানা জায়গায় জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে। কোনও কোনও সংবাদ সূত্র থেকে দাবি করা হচ্ছে, এটা শোয়েব মালিকের দ্বিতীয় বিয়ে আবার কোনও কোনও মারফত থেকে দাবী করা হচ্ছে এটা নাকি তাঁর তৃতীয় বিয়ে।
তবে রেকর্ড অনুযায়ী, এটি পাকিস্তানি ক্রিকেট তারকা শোয়েব মালিকের দ্বিতীয় বিয়ে। রেকর্ড ছাড়া অন্যান্য গোপন সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, সানিয়াকে বিয়ে করার আগে শোয়েব নাকি আয়েশা সিদ্দিকীকে বিয়ে করেছিলেন। এমনটাই জানা গিয়েছে। যদিও ক্রিকেটার তা সম্পূর্ণভাবে নিজের মুখে অস্বীকার করেছেন। সানিয়া মির্জার সঙ্গে তাঁর বিয়ের অনুষ্ঠানের দিনেই, অভিযোগ উঠেছিল তিনি ইতিমধ্যে বিবাহিত রয়েছেন। আয়েশা, তাঁর পরিবার এবং তাঁর বোন জাতীয় টেলিভিশনে বিষয়টি নিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলেন। পাকিস্তানি ক্রিকেট তারকা শোয়েব মালিকের নিজের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, আয়েশাকে জড়িত পুরো অধ্যায়টি নাকি প্রতারণার ঘটনা ছাড়া আর কিছুই ছিল না।
জানা গিয়েছে, 2000 সালের গোড়ার দিকে আয়েশা নিজেকে শোয়েবের ভক্ত হিসাবে সকলের সামনে পরিচয় দিয়েছিলেন। তারপর ফোন কলে দুজনের যোগাযোগ হয়। দুজনে কথা বলতে শুরু করেন। এরপরই তিনি স্বীকার করেছেন যে তাঁদের একে অপরের প্রতি অনুভূতি তৈরি হয়ে গিয়েছিল। শোয়েব যতবারই আয়েশার সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন, আয়েশা রাজি হননি। 2002 সালে, মালিক তাঁর সঙ্গে দেখা করতে হায়দ্রাবাদে চলে আসেন, কিন্তু আয়েশা তাঁকে বলেছিলেন কোনও জরুরি দরকারে তাঁকে সৌদি আরবে যেতে হবে। তিন বছর পর, শোয়েবের এবং তাঁর পরিবারের সঙ্গে পরিবারের সাথে দেখা করার কথা ছিল। এই ঘটনার তার একদিন আগে, তাঁদের বলা হয়েছিল যে আয়েশাকে নাকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলে যেতে হচ্ছে। যে বিষয়টি পুরোটাই প্রতারণা বলেই শোয়েব মালিক নিজে আখ্যা দিয়েছেন।
View this post on Instagram
সব খবরের আপডেট সবার আগে পেতে অবশ্যই ফলো করতে পারেন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল, ফেসবুক পেজ।