Neem Phooler Madhu: সে প্রতিবাদী, স্পষ্টবাদী; সে সেই মেয়ে যে বারবার প্রমাণ করে দিয়েছে আত্মসম্মানবোধ সবার আগে। বলা হচ্ছে ‘নিম ফুলের মধু’-এর পর্ণার কথা। যেখানে সিরিয়ালের নায়িকা মানেই মুখ বুজে সহ্য করা আর অতিরিক্ত ভালোমানুষী সেখানে সিরিয়ালের নায়িকার ধারণা পাল্টেছে পর্ণা।
একদিকে পর্ণা-সৃজনের টক ঝাল মিষ্টি দাম্পত্য অপরদিকে যৌথ পরিবারের স্বাদ এই নিয়েই শুরু হয়েছিল “নিম ফুলের মধু”। সেই প্রথম দিন থেকেই চিরাচরিত বস্তাপচা পুরনো নিয়ম ভেঙে মেয়েদের এগিয়ে যাওয়ার দর্পণ হয়ে উঠেছে পর্ণা। এই কয়েক বছরের দত্ত পরিবারে অনেক নিয়ম বদলেছে সে। বারবার লড়াই করে এসেছে নিজের অধিকারের জন্য। সম্প্রতি পর্ণা আরো এক বিপ্লব ঘটালো দত্ত পরিবারে।
আরও পড়ুন: Dona Ganguly: ‘ও ভীষণ পজেসিভ…’, স্ত্রী ডোনার শাড়ি থেকে গয়না সব বিষয় খেয়াল সৌরভের
যত এপিসোড এগিয়েছে তত নতুন নতুন ধামাকা এনেছে পর্ণা, বিপ্লব ঘটিয়েছে দত্ত পরিবারে। প্রাচীনপন্থী সেকেলে পরিবার নিয়ে এসেছে মুক্তির হাওয়া। বর্তমানে দেখা যাচ্ছে বেশ কয়েক বছর এগিয়ে গেছে নিম ফুলের মধুর গল্প। ইতিমধ্যে ফিরে এসেছে হেমনলিনী দেবী, চয়ন। পর্ণার কোল আলো করে এসেছে শ্রীপর্ণা অর্থাৎ পুটি। আর তারপরেই গল্প এগিয়ে চলেছে তড়তড়িয়ে। আর এই পুঁটিকে নিয়েই আরো এক বিপ্লব ঘটালো পর্ণা।
এপিসোডে দেখা গেছে মেয়ের হাতেখড়ির দিন পুরোহিত পুজো করতে এসে অসুস্থ হয়ে পড়েন। যথারীতি হাতেখড়ি আর পুজোর দুটোতেই বাঁধা পড়ে। তখনই সকলে ভাবতে বসে হাতেখড়ি কিভাবে হবে! এমন সময় কৃষ্ণা ব্যঙ্গ করে বলে “মেয়ের আবার ঘটা করে হাতেখড়ি!”
আর এই সমস্যারই সমাধান করে ফেলে পর্ণা। সে জানায় সেই নিজের মেয়ের হাতেখড়ি দেবে। কৃষ্ণা নাক সিঁটকালে পর্ণা জানায় মা যদি সন্তানকে প্রথম বুলি শেখাতে পারে প্রথম লেখাটা কেন মায়ের হাত ধরে হবে না! শেষ পর্যন্ত দেখা যায় পর্ণায় নিজের মেয়ের হাতেখড়ি দিচ্ছে। আর এই প্রশ্ন কেবল পর্ণার নয়, প্রশ্ন সমাজের কাছেও।
Neem Phooler Madhu
প্রসঙ্গত আসন্ন পর্বগুলি বেশ মজাদার হতে চলেছে এবার। আস্তে আস্তে বড় হয়ে উঠছে সৃজন পর্ণার পুঁটি। ইতিমধ্যে দেখা গেছে পর্ণার থেকেও দ্বিগুন চঞ্চল তার কন্যা। কৃষ্ণা যতই চাই নাতনির মুখ দেখবে না কিন্তু নাতনী নাছোড়বান্দা। সে কৃষ্ণা ওরফে ঠাকুমাকে নাজেহাল করেই ছাড়ছে। আগামীতে কৃষ্ণার কি একটু হলেও পরিবর্তন হবে! জানতে চোখ রাখতে হবে জি বাংলার পর্দায়।