Popcorn Lung: বাড়ছে পপকর্ন ফুসফুস, বিরল এই রোগের লক্ষণগুলি কী কী!
শরীরে কিছু লক্ষণ যেমন শ্বাসকষ্ট, ক্রমাগত কাশি পরিলক্ষিত হলে বোঝা যায় ফুসফুসের রোগ হয়েছে। ঠিক সেই কারণেই বুকে ব্যাথা বা কথা বলতে অসুবিধা হলে প্রথম থেকেই সচেতন হওয়া জরুরি।
Popcorn Lung: বর্তমানে শহরাঞ্চলে যানবাহনের অত্যধিক বৃদ্ধির কারণে দূষনের মাত্রাও বাড়ছে উত্তরোত্তর। যা ফুসফুসের ক্ষতি করছে। এছাড়া বাতাসে ভাসমান বিভিন্ন ভাইরাস, ধূলিকণা ও ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে ফুসফুস। এছাড়া মাত্রারিক্ত ধূমপান ফুসফুসের রোগের অন্যতম কারণ। শরীরে কিছু লক্ষণ যেমন শ্বাসকষ্ট, ক্রমাগত কাশি পরিলক্ষিত হলে বোঝা যায় ফুসফুসের রোগ হয়েছে। ঠিক সেই কারণেই বুকে ব্যাথা বা কথা বলতে অসুবিধা হলে প্রথম থেকেই সচেতন হওয়া জরুরি। ধূমপান ফুসফুসের ক্ষতি করার পাশাপাশি বর্তমানে বাজারে চলতি ই- সিগারেট ফুসফুসের রোগকে দ্বিগুণ বাড়িয়ে তুলছে। ইদানিং ফুসফুসের রোগের এক ধাপ উপরে রয়েছে পপকর্ন ফুসফুস। এটি একপ্রকার বিরল ফুসফুসের রোগ যা ক্ষুদ্র শ্বাসনালীর ক্ষতি করে শ্বাসনালীকে অবরুদ্ধ করে দেয়। এখনও পর্যন্ত এই রোগের কোনো নিরাময় নেই। আজকের প্রতিবেদনে দেখে নিন এই রোগের কিছু লক্ষণ।
পপকর্ন ফুসফুস এর আসল নাম হলো ‘ব্রঙ্কিওলাইটিস ওব্লিটারানস’। এটি এমন ফুসফুসের রোগ যা প্রত্যক্ষভাবে শ্বাসনালীগুলিকে প্রভাবিত করে এবং এর একমাত্র প্রধান কারণ হল ধূমপান। দীর্ঘ সময় ধরে ধূমপানের কারণে একজন ধূমপায়ীর ফুসফুসে পপকর্নের সর্বাধিক এক্সপোজার বা বিভিন্ন ধূমপানের ওষুধের ব্যবহার বৃদ্ধি পায়। এই রোগটি শ্বাসযন্ত্রকে সংকুচিত করে শ্বাস-প্রশ্বাসে বাধা সৃষ্টি করে শ্বাস-প্রশ্বাস সম্পর্কিত অন্যান্য সমস্যার সৃষ্টি করে। ডায়াসিটাইল বা অন্যান্য ক্ষতিকারক রাসায়নিকের আশেপাশে থাকা ব্যক্তি, যাঁদের ফুসফুস প্রতিস্থাপন হয়েছে বা যে সকল ব্যক্তির শ্বাসনালীতে গুরুতর সংক্রমণ রয়েছে এবং যাঁদের অটোইমিউন রোগ রয়েছে, তাঁদের এই রোগের ঝুঁকি অনেক বেশি।
আরও পড়ুন: Snake Viral Video: এক নিঃশ্বাসে গিলে ফেলবে মানুষ, পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সাপের ভিডিও দেখালেন গবেষকরা
পপকর্ন ফুসফুসের লক্ষণ:
ব্রঙ্কিওলাইটিস ওব্লিটারানস (বিও) বা পপকর্ন ফুসফুস-এর বিভিন্ন উপসর্গ রয়েছে যেমন- কাশি, শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা এবং শ্বাসকষ্ট, যদিও এগুলি সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে নিরাময় করা যেতে পারে। তাই এর মধ্যে যেকোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলে তৎক্ষণাৎ ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ। ভেপিংয়ের ফলে সৃষ্ট লাইপয়েড নিউমোনিয়া সাধারণ নিউমোনিয়া থেকে আলাদা হওয়ায় এটি ফ্যাটি অ্যাসিড সংক্রমণের পরিবর্তে ফুসফুসে প্রবেশ করে।
এই রোগে আক্রান্ত কোনো ব্যক্তির ক্রমাগত কাশি, শ্বাস নিতে অসুবিধা এবং কাশি থেকে রক্ত বা রক্তযুক্ত শ্লেষ্মার মতো লক্ষণগুলি দেখা দিতে পারে। নিউমোথোরাক্স, বা ফুসফুসের ক্ষতি তখনই ঘটে যখন ফুসফুসে ছিদ্র থাকে এবং তা অক্সিজেনকে বেরিয়ে যেতে দেয়। ধূমপান এবং ভেপিং এইক্ষেত্রে অত্যন্ত ক্ষতিকর।
রোগ নির্ণয়:
পপকর্ন ফুসফুস রোগের চিকিৎসার জন্য প্রথম ধাপে এই রোগ নির্ণয় করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
- রোগীর মেডিক্যাল হিস্ট্রি এবং শারীরিক পরীক্ষা শেষ লক্ষণ এবং ক্ষতিকারক পদার্থের সম্ভাব্য এক্সপোজার নিয়ে আলোচনা এই রোগ নির্ণয়ের প্রথম ও প্রধান। ধাপ হিসাবে বিবেচিত হয়।
- ফুসফুসের কার্যকারিতা পরীক্ষা: ফুসফুসের কার্যকারিতা দেখে ফুসফুসের ক্ষমতা এবং বায়ুপ্রবাহের মাত্রার দিকে নজর রাখা।
- ফোর্সড অসিলোমেট্রি (এফওটি) বা ইমপালস অসিলোমেট্রি: ছোট শ্বাসনালীর রোগ খুঁজে বের করার জন্য একটি নতুন চিকিৎসা পদ্ধতি এটি।
- ইমেজিং পরীক্ষা: ভিতরে কী চলছে তা বোঝার জন্য বুকের এক্স-রে বা সিটি স্ক্যান করা।
- পপকর্ন ফুসফুসের চিকিৎসা: অভিজ্ঞ ডাক্তারের মতে ওষুধ থেকে শুরু করে অক্সিজেন থেরাপি বিভিন্ন পদ্ধতির মাধ্যমে পপকর্ন ফুসফুসের রোগের চিকিৎসা করা যেতে পারে।