Informative

Swami Vivekananda: স্বামী বিবেকানন্দের সম্মানে শিয়ালদহে বিশেষ ট্রেন! জানেন কোন রুটে কেন চলে এই ট্রেন?

স্বামীজি ট্রেন থেকে নামার সঙ্গে সঙ্গে তার চারপাশে থাকা প্রত্যেকেই আশীর্বাদ গ্রহণের চেষ্টা করে। কোনওরকমে জনসমাগমের ভিড় পেরিয়ে ঘোড়ার গাড়িতে উঠেছিলেন স্বামীজি।

Google News

Swami Vivekananda: আজকের দিনে প্রত্যেক বছর শিয়ালদাহ থেকে বজবজ অবধি চলে স্বামীর স্মরণে বিশেষ ট্রেন! কিন্তু কেন? জানেন! আসল কারণ জানলে অবাক হবেন আপনিও।

আরও পড়ুন:Kanchan Sreemoyee: ‘ও যে এমন করতে পারে’! কাঞ্চন প্রসঙ্গে ঠোঁটকাটা নব বধূ শ্রীময়ী

স্বামী বিবেকানন্দ বিশ্ব ধর্ম সম্মেলনে নিজের বক্তৃতার মাধ্যমে পশ্চিমের বিশ্বকে মুগ্ধ করে কলকাতায় ফিরে এসেছিলেন ১৯ শে ফেব্রুয়ারি। এই বিষয়টি আমাদের প্রত্যেকেরই অজানা নয়। সেই বিশেষ দিন অর্থাৎ ১৮৯৭ খ্রিস্টাব্দের ১৯ শে ফেব্রুয়ারি ঘটে যাওয়া বিষয়গুলিকে আরো একবার স্মরণ করতে এই দিন শিয়ালদা থেকে ব্যবস্থা করা হয় বিশেষ ট্রেনের। মাদ্রাজ থেকে জাহাজে করে বজবজে এসেছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ।

জাহাজে ভ্রমণকালীন শারীরিক অসুস্থতার কারণে চিকিৎসকরা তাঁকে জলের পরিবর্তে পরামর্শ দিয়েছিলেন নারকেলের জল পান করার। কারণ সেই সময়ে জাহাজের প্রচুর পরিমাণে নারকেল বোঝাই ছিল। সেই নারকেলগুলো সহযাত্রী এবং বন্ধুদের মধ্যে বিতরণ করে দিয়েছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ। কলকাতায় দারভাঙা মহারাজের সভাপতিত্বে স্বামী বিবেকানন্দকে স্বাগত জানানোর উদ্দেশ্যে গঠন করা হয়েছিল একটি কমিটি। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল স্বামীজি বজবজ পৌঁছানোর পরের দিন বজবজ থেকে শিয়ালদা পর্যন্ত একটি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হবে। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী ১৯ শে ফেব্রুয়ারি সকালে স্বামী বিবেকানন্দ তার অনুগামীদের নিয়ে একটি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করেন এবং রওনা হয়ে যান বজবজের উদ্দেশ্যে।

হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ Join
টেলিগ্রাম গ্রুপ Join

সেই দিন ছিল প্রায় ২০,০০০ জন লোকের সমাগম। উদগ্রীব শেয়ালদা স্টেশনে মানুষ তাকে আগমন জানানোর জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এছাড়াও আমেরিকা ও ইংল্যান্ডের বাসিন্দাদের লেখা নিয়ে কৃতজ্ঞতা ও প্রশংসা পত্রগুলিও পড়েছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ। যা তখন ছাপা হয়েছিল সংবাদপত্রে। এই সব কিছুই স্বামী বিবেকানন্দের প্রতি জনসাধারণের মধ্যে একরকম আগ্রহ বাড়িয়ে তুলেছিল।

সকাল ৭ টা থেকে ৭:৩০ মিনিট থেকে শিয়ালদা স্টেশনে যখন মাইকে আসন্ন ট্রেনের ঘোষণা করা হতে থাকে তখন উত্তেজিত জনতার মধ্যে থেকে জয়ধ্বনি উঠতে শুরু করেছিল স্বামীজীর নামে। যা প্রতিধ্বনিত হচ্ছিল চারিপাশে। স্বামীজি ট্রেন থেকে নামার সঙ্গে সঙ্গে তার চারপাশে থাকা প্রত্যেকেই আশীর্বাদ গ্রহণের চেষ্টা করে। কোনওরকমে জনসমাগমের ভিড় পেরিয়ে ঘোড়ার গাড়িতে উঠেছিলেন স্বামীজি।

সব খবরের আপডেট সবার আগে পেতে অবশ্যই ফলো করতে পারেন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল, ফেসবুক পেজ

Tithi Adak

Tithi Adak: বিগত প্রায় তিন বছর ধরে ডিজিটাল মিডিয়ায় কাজের সঙ্গে যুক্ত। এন্টারটেইনমেন্ট, ভাইরাল ভিডিও, লাইফ স্টাইল এবং যেকোনো ধরণের জেনারেল নিউজ লেখায় পারদর্শী। রয়েছে এডিটোরিয়াল এবং টিম ম্যানেজমেন্ট এর অভিজ্ঞতাও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button