Chaitanya Mahaprabhu: শ্রী চৈতন্যদেবের হাতের লেখা দেখবেন! ঘুরে আসুন এখান থেকে
বিভিন্ন স্থানে শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভুর মন্দির গড়ে উঠেছে। যা পর্যটকদের কাছে বিশেষ আকর্ষণ।
Chaitanya Mahaprabhu: পুরাণমতে চৈতন্যদেবকে শ্রী কৃষ্ণের অবতার বলে মনে করা হয়। চৈতন্য কথার অর্থ চেতনা। হরে কৃষ্ণ মন্ত্রকে সকলের মধ্যে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন মহাপ্রভু। তাঁর ভক্তদের মতে, তাঁর মধ্যে নানা ভাবে শ্রীকৃষ্ণের প্রকাশ ঘটেছে। যদিও তিনি কখনো নিজেকে শ্রী কৃষ্ণের অবতার রূপে মনে করেননি। বৈষ্ণব ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা চৈতন্য মহাপ্রভু সংকীর্তন আন্দোলন করে দেশব্যাপী ভক্তি ও প্রেমের ঝড় তুলেছিলেন। বিভিন্ন স্থানে শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভুর মন্দির গড়ে উঠেছে। যা পর্যটকদের কাছে বিশেষ আকর্ষণ।
Chaitanya Mahaprabhu
তেমনই মুর্শিদাবাদের ভবতপুরেও রয়েছে শ্রী চৈতন্যদেবের মন্দির। এছাড়াও দিয়েছে শ্রীরাধাগোপীনাথ মন্দির। যেখানে নাকি আজও চৈতন্য মহাপ্রভুর হস্তাক্ষরে গীতার শ্লোক লেখা রয়েছে। পর্যটকরা আজও তাঁর হাতের লেখার নির্দশন পান এই মন্দিরে। মন্দিরটি প্রায় ৫০০০ বছরের পুরনো। তবে বর্তমানে মন্দিরটিকে সংস্কার করে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে (Chaitanya Mahaprabhu)।
আরও পড়ুন: Madhyamik 2024: শুরু হয়েছে সন্তানের মাধ্যমিক পরীক্ষা! এই খাবারটি খাইয়ে পরীক্ষা দিতে পাঠান, সফল হবেই
জানা গিয়েছে, শ্রীগদাধর পণ্ডিত গোস্বামী রয়েছেন শ্রীপাটের কেন্দ্রে। যিনি চৈতন্যদেবের অন্যতম প্রিয় সুহৃদ ও আধ্যাত্মিক সহচর ছিলেন। ভরতপুর শ্রীপাটে রয়েছে শ্রীগদাধর (Chaitanya Mahaprabhu) পণ্ডিতের ভ্রাতুষ্পুত্র নয়নানন্দ গোস্বামীর সেবিত একটি কষ্টিপাথরের শ্রীরাধাগোপীনাথ মূর্তি। শ্রীগদাধর পণ্ডিত লিখিত শ্রীমদ্ভগবতগীতার পু্ঁথি। প্রচলিত বিশ্বাস অনুসারে, যেখানে শ্রী চৈতন্যদেবের হস্তাক্ষরে গীতার শ্লোক আছে। কথিত আছে এটি তালপাতার উপর লিখিত।
আরও পড়ুন:Viral News: ইডি অফিসার পরিচয় দিয়ে বিয়ের প্রতিশ্রুতি যুবকের, হাতায় লক্ষ লক্ষ টাকা! তারপর?
সংরক্ষিত গীতায় ৭৪৫টি শ্লোক রয়েছে। যার মধ্যে একটি পাতায় শ্রী চৈতন্য দেবের হস্তাক্ষরে গীতার শ্লোক রয়েছে। এই গীতার আরও একটি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। বর্তমানে সমগ্র ভারতবর্ষে জুড়ে গীতার মোট ৭০০টি শ্লোক পাওয়া গেলেও ভরতপুরে তাল পাতায় লেখা গীতার শ্লোকের সংখ্যা ৭৪৫টি। এছাড়াও অষ্টধাতুর একটি বেণুগোপাল মূর্তি রয়েছে এই মন্দিরে। এখনও এই স্থানে নিত্যসেবা ও পুজোপাঠ চলে। মন্দিরের সেবারত ব্যক্তিরা জানান, ‘গীতায় থাকা শ্লোক চৈতন্যদেবের হাতে লিখিত রূপে আজও তাম্রপত্রে রয়েছে। গদাধর পণ্ডিত রাধা গোপীনাথ ও বেণুধারী গৌরাঙ্গ এই রূপের বিগ্রহ আছে মন্দিরে। এছাড়াও নিত্যদিন সাতটি শালগ্রাম শিলার নারায়ণ সেবা চলে। রয়েছে গোপালের মূর্তি।’
আরও পড়ুন: Money Transfer Rules: আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে চালু বড় নিয়ম! মাথায় হাত পড়তে পারে এই ব্যক্তিদের
ঐতিহাসিক বিশেষজ্ঞ সুমন মিত্র জানিয়েছেন, গদাধর পণ্ডিত ছিলেন চৈতন্য মহাপ্রভুর ঘনিষ্ঠ সঙ্গী। শৈশবকাল থেকে সন্ন্যাসী জীবনের এক দীর্ঘ সময় একসঙ্গে কাটিয়েছেন তাঁরা। পরবর্তীকালে চৈতন্যদেবের অনুরোধে পুন্ডরীক বিদ্যানিধির কাছে দীক্ষা গ্রহণ করেছিলেন তিনি। গৌড়ীয় ধর্মমতে পঞ্চতত্ত্বের একজন অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। তাঁকে রাধারানি, ললিতা বা এঁদের মিলিত অবতার রূপে গণ্য করা হয়। মুর্শিদাবাদ জেলার ভরতপুরে শ্রীপাটের কেন্দ্রে রয়েছেন শ্রীগদাধর পণ্ডিত গোস্বামী।
সব খবরের আপডেট সবার আগে পেতে অবশ্যই ফলো করতে পারেন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল, ফেসবুক পেজ।