Holi Destinations: কলকাতার খুব কাছেই বাংলার গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন সহ আরও ২ স্বর্গীয় স্থান! হোলির ছুটিতে যাবেন নাকি?
Holi Destinations: ঘুরতে ভালোবাসেন না এমন মানুষ বিরল। কর্মব্যস্ত জীবনের থেকে একটু ছুটি মিললেই মানুষ বেরিয়ে পড়ে অজানার উদ্দেশ্যে। আর কয়েকদিন বাদেই দোল উৎসব আর তারপরেই সপ্তাহান্তের ছুটি। যার কারণে কমবেশি সকলেই ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান করছেন। তবে এত কম সময়ে দূরে ঘুরতে যাওয়া অনেকের পক্ষেই সম্ভব নয়। তাই কলকাতার কাছাকাছি কয়েকটি জায়গায় বা রিসোর্টে মেতে উঠতে পারেন দোলের আনন্দে।
কলকাতার আশেপাশে ছুটি কাটাতে কোনো শান্ত নিরিবিলি (Holi Destinations) পরিবেশের সঙ্গে গঙ্গার হাওয়া উপভোগ করতে চাইলে ঘুরে আসা যেতে পারে নীহারিকা বাংলো থেকে। এই হেরিটেজ বাংলোটি কলকাতা থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। দুর্দান্ত খাবারের সঙ্গে এই রিসোর্টে মিলবে সুন্দর অ্যাম্বিয়েন্স। এই রিসোর্টে সারাদিনের খাবারের প্যাকেজ মাথাপিছু ১,৭০০ টাকা, যার মধ্যে বাঙালি থালির জন্য মটন ও মাছের বিকল্প রয়েছে। এই রিসোর্টের প্রতিটি রুম শুরু ৮,০০০ টাকা থেকে। এক দুদিনের ছুটিতে এই বাংলো থেকে ঘুরে আসা যেতে পারে এবং এইখান থেকে যে কেউ ব্যারাকপুর, খরদা এবং পানিহাটির বিভিন্ন জায়গা ঘুরে আসতে পারেন।
ক্ষীরাই:
দোলের ছুটিতে আবিরের রঙে রাঙা না হয়ে ফুলের রঙে নিজেকে রাঙিয়ে তুলতে পৌঁছে যেতে পারেন বাংলার নিজস্ব ভ্যালি অফ ফ্লাওয়ার ক্ষীরাইতে। কলকাতা থেকে মাত্র ২ কিলোমিটার গেলেই পেয়ে যাবেন এই সুন্দর ফুলের বাগান। ক্ষীরাইতে যাওয়ার পথে সকালের ব্রেকফাস্ট করা যেতে পারে উলুবেড়িয়ার আজাদ হিন্দ-এ এবং মধ্যাহ্নভোজ বা সন্ধ্যার জলখাবারের জন্য সেরা ঠিকানা হতে পারে শের-ই-পাঞ্জাব।
দেউলটি:
বাংলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতি আকৃষ্ট হলে কলকাতা থেকে মাত্র ৪৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত (Holi Destinations) দেউলটিতে পৌঁছে যেতে পারেন। এখানে বিশিষ্ট ঔপন্যাসিক শরৎচন্দ্রের বাড়ির সঙ্গে শরৎ স্মৃতি মন্দির নামক একটি হাউস মিউজিয়াম দেখা যেতে পারে যেখানে লেখকের সমস্ত ব্যবহার্য জিনিস আসবাবপত্র রয়েছে। একদিনের জন্য রূপনারায়ণ নদীর তীরে গ্রামীণ পরিবেশে নিজেকে হারিয়ে ফেলতে চাইলে দেউলটি জায়গাটি উপযুক্ত। দোলের ছুটি কাটাতে চলে আসতে পারেন এখানকার নিরালা রিসোর্টে।
হেনরি দ্বীপ (Holi Destinations):
সমুদ্রের ঢেউ ও নির্জনতা উপভোগ করতে দোলের ছুটিতে পৌঁছে যেতে পারেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার বকখালি থেকে মাত্র কিছু দূরে অবস্থিত হেনরি দ্বীপে। কলকাতা থেকে সড়কপথে মাত্র ১৩০ কিলোমিটার পথ গেলেই পৌঁছে যাওয়া যাবে বাংলার আদি সমুদ্র সৈকত বকখালি। সেখান থেকে ম্যানগ্রোভ অরণ্যের মধ্য দিয়ে ১৫ মিনিট হাঁটলেই হেনরি দ্বীপ। এই দ্বীপের ম্যানগ্রোভ গাছ এবং নির্জনতা মন কাড়বে সকলের। খাওয়াদাওয়ার জন্য রয়েছে সুন্দর ট্যুরিস্ট কমপ্লেক্স। যেখানে মানুষ খাওয়া দাওয়ার পাশাপাশি একদিন থাকতেও পারবে।
গণগনি:
সাপ্তাহিক ছুটিতে বা একদিনের ভ্রমণের জন্য কলকাতার আশেপাশের (Holi Destinations) বিভিন্ন ভ্রমণ স্থানের মধ্যে সবচেয়ে অনন্য হলো গণগনি, যাকে বাংলার গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন বলা হয়ে থাকে। পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতায় অবস্থিত এই জায়গাটি কলকাতা থেকে মাত্র ১৮০ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত। এই স্থানে গিরিখাতের পাশাপাশি চোখে পড়বে শিলাবতী নদীর অবস্থান। একদিনের জন্য একটি মনোরম পরিবেশ চাইলে এই স্থানে ঘুরে আসা যেতে পারে। তবে গণগনিতে কোনও থাকার বা খাবারের জায়গা নেই। খাবার পাওয়া যাবে গড়বেতা, খড়গপুর বা মেদিনীপুর শহরে।