Monkey Fever: করোনা অতীত, এবার মাঙ্কি জ্বরের কবলে পড়তে চলেছে গোটা দেশ! কীভাবে চিনবেন এই রোগ?
Monkey Fever: ‘কেয়াসানুর ফরেস্ট ডিজিজ’ বা মাঙ্কি ফিভার সম্প্রতি মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। ইতিমধ্যেই পাওয়া খবর অনুযায়ী, জানা গিয়েছে এই রোগে কর্নাটকে মৃত্যু হয়েছে দু’জনের। যা নিশ্চিত করা হয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফ থেকে। রোগ প্রতিরোধে বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন রাজ্য সরকার।
বিখ্যাত সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, মাঙ্কি ফিভারের দৌলতে কর্নাটকে প্রথম মৃত্যু হয়েছে ১৮ বছরের এক তরুণীর। যদিও তাঁর পরিচয় প্রকাশ করেনি স্বাস্থ্য দপ্তর। দ্বিতীয় জনের তালিকায় রয়েছেন উদূপী জেলার এক ব্যক্তি। যার বয়স ৭৯ বছর। চিকামাগালুর এর এক বেসরকারি হসপিটালে এই রোগে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। তাঁর পরিচয়ও গোপন রাখা হয়েছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, উত্তর কর্নাটকে এখনও এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ৫০ জন। শিবমোগ্গা এবং চিকমাগালুরেই থেকেই সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের হদিস মিলেছে। এরপরেই সতর্ক হয়ে নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। বৈঠকে বসেছেন স্বাস্থ্য দপ্তরের শীর্ষে থাকা কর্তারাও।
আরও পড়ুন: Didi No 1: ক্লাস ফাইভেই মা হয়ে যান! এই ঘটনা অবাক করবে আপনাকেও
মাঙ্কি ফিভার রোগ আসলে কী?
মাঙ্কি ফিভার হয়ে থাকে কেয়াসানুর ফরেস্ট ডিজিজ ভাইরাসের (কেএফডিভি) সংক্রমণে। এই রোগের জন্ম ১৯৫৭ সালে কর্নাটকের গভীর জঙ্গলে। আস্তে আস্তে পুরো দক্ষিণ এশিয়ায় ত্রাস হয়ে ওঠে এই মাঙ্কি ফিভার। এটি সাধারণত ছড়ায় জঙ্গলের পরজীবী এঁটুলির কামড়ে। ওই বিশেষ পরজীবী কোনও আক্রান্ত প্রাণী, বিশেষত হনুমানকে কামড়ানোর পর কোনও মানুষকে কামড়ালে তাঁর মধ্যে এই রোগের মূল জীবাণু কেএফডিভি দেখা দেয়। সাধারণত গভীর জঙ্গলে গিয়েই মানুষেরা আক্রান্ত হয়ে থাকেন এই রোগে। এঁটুলি কামড়ানোর তিন থেকে আট দিন পর সংক্রমণের উপসর্গ প্রকাশ পায় উক্ত ব্যক্তির মধ্যে।
এই রোগের সংক্রমণের উপসর্গ কী কিংবা কীভাবে চিনবেন?
সেন্ট্রাল কোস্টাল এগ্রিকালচারাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট এর তথ্য অনুযায়ী, কেএফডিভি সংক্রমণের কারণে প্রথমে
- জ্বর,
- মাথা যন্ত্রণা,
- পেশিতে ব্যথা,
- দুর্বলতা,
- হজমে সমস্যা,
- বমি,
- ডায়রিয়া পর্যন্ত হতে পারে।
এর জন্য এনসেফেলাইটিস, হেপাটাইটিস, হতে পারে। যা একাধিক অঙ্গকেও বিকল করে দিতে পারে।
সব খবরের আপডেট সবার আগে পেতে অবশ্যই ফলো করতে পারেন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল, ফেসবুক পেজ।