Bank Fraud Case: 52কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগ এই কর্মীর বিরুদ্ধে!
সম্প্রতি এমনই একটি ঘটনার অভিযোগ উঠে এসেছে পঞ্জাব এবং সিন্ধ ব্যাংকের একজন প্রাক্তন কর্মীর বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে গ্রাহকদের ফিক্সড ডিপোজিট ভেঙ্গে অনলাইনে গেম খেলতেন ওই ব্যাংক কর্মী।
Bank Fraud Case: গ্রাহকদের ফিক্সড ডিপোজিট থেকে টাকা লোপাট ব্যাংক কর্মীর! ৫২ কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগ কর্মীর বিরুদ্ধে। নিজের উপার্জিত অর্থ ব্যাঙ্কে রাখাকেই সবচেয়ে সুরক্ষিত মনে করেন সাধারণ মানুষ। কিন্তু সেই টাকাই যদি লোপাট হয়ে যায় কোনো ব্যাংক কর্মীর দ্বারা তবে মাথায় হাত পড়ার জোগাড় হয় সকলের। সম্প্রতি এমনই একটি ঘটনার অভিযোগ উঠে এসেছে পঞ্জাব এবং সিন্ধ ব্যাংকের একজন প্রাক্তন কর্মীর বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে গ্রাহকদের ফিক্সড ডিপোজিট ভেঙ্গে অনলাইনে গেম খেলতেন ওই ব্যাংক কর্মী। ইতিমধ্যে ওই কর্মীর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা (ইডি)। প্রায় ৫২ কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। তদন্তে নেমে আড়াই কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি।
মূলত ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে দিল্লির পঞ্জাব এবং সিন্ধ ব্যাঙ্কের (Bank Fraud Case) তরফে তাদের এক কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের খালসা কলেজের পাশে ওই ব্যাংকের একটি শাখা আছে আর সেখানেই কর্মরত ছিলেন বেদাংশুশেখর মিশ্র নামের এক ব্যাঙ্ককর্মী। ব্যাঙ্ক কর্মকর্তাদের অভিযোগ, নিজের এবং অফিসের সহকর্মীদের ‘সিস্টেম আইডি’ ব্যবহার করেই গ্রাহকদের ফিক্সড ডিপোজিট থেকে টাকা লোপাট করেছেন ওই ব্যাংক কর্মী। ২০২১-২০২২ অর্থাৎ এক বছর ধরে এই তছরুপ চলেছে এমনই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: Beauty Tips: প্রচণ্ড এই শীতে আপনার ত্বক ও চুলের সঙ্গী এই ১০ টিপস!
এই মামলায় একটি এফআইআর দায়ের করে সিবিআই। বেদাংশুশেখর নামক ওই ব্যাংক কর্মীর বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধী আইন বা (পিএমএলএ) দায়ের করা হয়। এরপরই তদন্তের জন্য মামলা হাতে নেয় ইডি। তদন্তে জানা গিয়েছে মোট ৫২,২২,৫৩,৬৯৮ টাকা চুরি করেছেন ওই কর্মী (Bank Fraud Case)। তবে এত টাকা নিয়ে কী করতেন ওই ব্যাংক কর্মী!
তদন্তে যে তথ্য উঠে আসে তা সকলকে চমকে দেওয়ার মতো। জানা গিয়েছে, অনলাইনে গেম খেলার শখ ছিল ওই ব্যাংক কর্মীর (Bank Fraud Case)। গ্রাহকদের টাকা লোপাট করেই বিভিন্ন গেম খেলতেন তিনি। এখানেই শেষ নয় খেলার সময় বিভিন্ন গ্রাহকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য তিনি প্রদান করতেন সংশ্লিষ্ট সাইটগুলিতে। এখনও পর্যন্ত তদন্তে নেমে প্রায় ২ কোটি ৫৬ লক্ষ টাকার স্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। চলছে জিজ্ঞাসাবাদও।
সব খবরের আপডেট সবার আগে পেতে অবশ্যই ফলো করতে পারেন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল, ফেসবুক পেজ।