Kanchan Sreemoyee: ছি ছি, কাঞ্চন শ্রীময়ীর রিসেপশন অনুষ্ঠানে কেন উঠল এমন রব!
Kanchan Sreemoyee: টলিউডে ধুমধাম করে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন কাঞ্চন ও শ্রীময়ী চট্টরাজ।
Kanchan Sreemoyee: টলিউডে ধুমধাম করে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন কাঞ্চন ও শ্রীময়ী চট্টরাজ। তাঁদের বিয়ে ঘোষণা করার সময়ই তাঁরা জানিয়ে দিয়েছিলেন কোনওভাবে মিডিয়া কিংবা অন্যান্য কেউ প্রবেশ করতে পারবেন না। শুধুমাত্র নিমন্ত্রিতরা ছাড়া। গতকাল অর্থাৎ 6 তারিখ ছিল তাঁদের বিয়ের রিসেপশনের অনুষ্ঠান। এই দিনের পরেই প্রকাশ্যে আসে একটি ছবি। যা দেখে রীতিমতো ধিক্কার পড়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে কাঞ্চন এবং শ্রীময়ীর ছবির নিচে লেখা রয়েছে সংবাদমাধ্যম, নিরাপত্তারক্ষী এবং গাড়ির ড্রাইভাররা এই বিবাহ অনুষ্ঠানের আমন্ত্রিত নয়। যা দেখে অনেকেই তুলনা করেছেন ব্রিটিশ আমলের ক্লাব ঘরের বাইরে লেখা থাকার ‘ডগস আর নট অ্যালাউড’ এর প্রসঙ্গ।
এই বিষয় নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের দেহরক্ষী জানিয়েছেন, ‘ওই লেখাটা আমি দেখেছি। এক্কেবারেই ঠিক হয়নি এটা। খুবই খারাপ হয়েছে বিষয়টা। সবাই তো মানুষ। এভাবে কাউকে ছোট করা ঠিক নয়। কে ড্রাইভার, কে নিরাপত্তারক্ষী, যেই হন না কেন, এটা কি ঠিক! একটা বিয়েবাড়ি মানে আনন্দের অনুষ্ঠান, সেখানে ড্রাইভার, নিরাপত্তারক্ষীদের ঢুকতে নিষেধ করা হচ্ছে, সেটা কি শুনতে খুব ভালো লাগছে? এটার অর্থ আমাদের কাজকে ছোট করা হল।’
রাম সিং- আরো বলেছেন, ‘ড্রাইভার, নিরাপত্তারক্ষীর কাজটা কি কাজ নয়? আমরা তাহলে ছোট কাজ করি! আমরা মানুষ নই নাকি? আজ তো উনি বিধায়ক, উনিও তাহলে কোথায় গেলে ড্রাইভার, নিরাপত্তারক্ষী ছাড়া যাবেন তো? আবার সংবাদ মাধ্যমেরও প্রবেশ নিষেধ ছিল শুনছি। এটাও খুবই অন্যায়। সংবাদমাধ্যম, সাংবাদিক তো গুরুত্বপূর্ণ অংশ, তাঁদেরকেও অসম্মান করা হয়েছে। ছিঃ ছিঃ এটা ঠিক নয়। সেই ইংরেজ আমলে রেস্তোরাঁ বা ক্লাবের বাইরের লিখে রাখা হত, INDIANS AND DOGS ARE NOT ALLOWED। বিষয়টা ঠিক তেমন হল নাকি!’
এ বিষয়ে তাঁর আরো সংযোজন, ‘দাদা অনুষ্ঠানে যাননি, কারণ উনি অন্য কাজে ব্যস্ত ছিলেন। তবে দাদা যদি ওখানে যেতেন আর এগুলো দেখতেন, হয়ত ঢুকতেন না। যদিও বা ঢুকতেন, আমরা যেহেতু বাইরে থাকতাম, তাই ওই হাই, হ্যালো করে চলে বের হয়ে আসতেন। বেশিক্ষণ থাকতেন না। যেখানে মানুষকে অসম্মান করা হয়, সেখানে দাদা যান না। দাদা নিজে কখনওই এটা করেন না।’
তিনি জানান, ‘দাদা (প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়) শুধু আমাদের ভরসা করেন না, অনেক সম্মানও দেন। আমাদের এখানে সুইপার, ড্রাইভার, সকলকেই দাদা অনেক সমাদর করেন। আমাকে দাদা নিজের ভাইয়ের মতো আমায় ভালোবাসেন। দাদার বাড়ির অনুষ্ঠানেও তো সকলে আসেন, দাদা কি কারোর জন্য Not Allowed লিখে রাখেন নাকি! ড্রাইভার, সুইপাররাও সকলেই আনন্দ করেন দাদার বাড়িতে কোনও অনুষ্ঠানে। খুবই ছোট মানসিকতার কাজ এটা। কে যে এমন করা হল কে জানে!’