LPG gas Price Hike: গতকাল ছিল ১ জুলাই, নতুন মাস পরতেই বেশ কিছু আর্থিক নিয়ম বদলেছে। যদিও জুলাই মাস বলে নয় যেকোনো মাসের প্রথম দিনে দেশে অনেক বড় পরিবর্তন দেখা যায়। যার প্রভাব পড়ে আপনার ব্যাংক একাউন্ট থেকে শুরু করে আপনার রান্নাঘরে।
এই কারণেই আমজনতার চোখ থাকে মাসের শুরুর দিকে। বিশেষ করে গ্যাসের দাম কমলো নাকি বাড়লো এই নিয়ে প্রশ্ন মনে ঘুরপাক খায় মধ্যবিত্ত পরিবারে। আর এই মাসের শুরুতেই সুখবর পেলো ভারতের জনগণ। কারণে চলতি মাসে আবারো কমেছে গ্যাসের দাম।
বিশ্ববাজারে তেলের দাম বৃদ্ধি ও কমার উপর ভারতের জ্বালানির দাম নির্ধারিত হয়। আন্তর্জাতিক বাজারে সঙ্গে সমন্বয় করে তারা প্রতি মাসে গ্যাসের দাম পরিবর্তন করে থাকে। আর এই মাসেতেই স্বস্তির খবর শুনালো তেল কোম্পানিগুলি। এই মাসে কতো টাকায় পাবেন গ্যাস সিলিন্ডার? কতো টাকা কমলো গ্যাস সিলিন্ডারের দাম?
তেল বিপণন সংস্থাগুলি বাণিজ্যিক গ্যাস সিলিন্ডারের দাম কমিয়ে এ মাসে কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে। ইন্ডিয়ান অয়েল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে ১ জুলাই থেকে কলকাতায় ১৯ কেজি বাণিজ্যিক সিলিন্ডার কিনতে ১৭৫৬ টাকা লাগবে। এতদিন ১৯ কেজি রান্নার গ্যাস বিক্রি করা হতো ১৭৮৭ টাকায়। আজ দাম কমে নতুন দাম হয়েছে ১৭৫৬ টাকা। অর্থাৎ মোট ৩১ টাকা দাম কমেছে।
দেশের অন্যান্য মেট্রো শহরে ১৯ কেজি বাণিজ্যিক গ্যাস সিলিন্ডারের দাম কতো?
দিল্লিতে প্রতি সিলিন্ডারের দাম পড়ছে ১৬৪৬ টাকা, এখানে ৩০ টাকা কমেছে বাণিজ্যিক গ্যাস সিলিন্ডারের দাম। মুম্বাই এবং চেন্নাইয়ে ১৯ কেজি বাণিজ্যিক গ্যাস সিলিন্ডারের দাম কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১৫৯৮ টাকা ও ১৮০৯.৫ টাকা। দুটি শহরে আগের মাসের তুলনায় ৩১ টাকা করে দাম কমেছে। তবে এই সমস্ত দামের পরিবর্তন বানিজ্যিক গ্যাস সিলিন্ডারের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
গার্হস্থ্য গ্যাসের দামের কী পরিবর্তন ঘটলো?
ভর্তুকিহীন ১৪.২ কেজি রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারের দামের কোন পরিবর্তন হয়নি। ইন্ডিয়ান অয়েলের তরফে জানানো হয়েছে কলকাতায় ভর্তুকিহীন রান্নার গ্যাসের দাম পড়ছে ৮২৯ টাকা। দিল্লি মুম্বাই এবং চেন্নাইয়ে ভর্তুকি ১৪.২ কেজি রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারের দাম ৮০৩ টাকা, ৮০২ টাকা, ৮১৮ টাকা।
তবে কোনো গ্রাহক যদি উজ্জ্বল যোজনার আওতায় রয়েছেন তারা ৩০০ টাকা কমে এই রান্নার গ্যাস কিনতে পারবেন। অর্থাৎ ৩০০ টাকার ভর্তুকি মিলবে।
উল্লেখ্য বাণিজ্যিক সিলিন্ডার গুলি মূলত বড় বড় হোটেল রেস্তোরাঁয় ব্যবহৃত হয়। তাই সাধারণ মানুষরা প্রত্যক্ষভাবে কোনো সুবিধা না পেলেও পরোক্ষ ভাবে মূল্যবৃদ্ধির চাপ সাধারণ মানুষের ওপরে পড়বে না বলেই আশা করা হচ্ছে।